কিভাবে নিজে নিজে প্রথমবারেই Malaysia Multiple Entry Visa করবেন?

হ্যাঁ, শিরোনামে একদম ঠিকই পড়েছেন! প্রথমবারেই আপনি নিজে নিজেই মালয়েশিয়ার ৬ মাসের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করতে পারবেন – কোনো এজেন্সি ছাড়াই, সম্পূর্ণ অনলাইনে।
অনেক দিন ধরেই এজেন্সি বা দালালের কাছে টাকা খরচ করে ভিসা করাতে হয় বলে মানুষ ভয়ে থাকে। কিন্তু আসলে পুরো প্রক্রিয়াটা এতটাই সহজ যে, একটু ধৈর্য আর মনোযোগ দিলেই আপনি নিজেই অনলাইনে ভিসা করতে পারবেন। চলুন দেখে নিই ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটা:
ধাপ ১: একাউন্ট তৈরি করুন
-
গুগলে সার্চ করুন “Malaysia e visa portal login”
-
অফিসিয়াল পোর্টাল খুলে নিজের ইমেইল ও ফোন নাম্বার ব্যবহার করে একাউন্ট তৈরি করুন।
ধাপ ২: ছবি প্রস্তুত করুন
-
ছবি সাইজ: ৩৫×৫০ মিমি (৪১৩×৫৯১ পিক্সেল)
-
ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে।
-
কানের পেছনে চুল যেন না থাকে।
-
ছবি এডজাস্ট করার জন্য অনলাইনে ফ্রি টুল ব্যবহার করতে পারেন।
👉 পোর্টাল AI দিয়ে ছবির ভ্যালিডেশন করে। তাই কয়েকবার zoom in/zoom out করতে হতে পারে।
ধাপ ৩: ফ্লাইট বুকিং
-
ভিসার জন্য রিটার্ন ফ্লাইট বুকিং লাগবে।
-
আপনি চাইলে আনপেইড বুকিংও ব্যবহার করতে পারেন।
-
Thai Airways, US-Bangla, Singapore Airlines – ২৪ ঘণ্টার “hold booking” দেয়।
-
Sharetrip, Gozayaan-এ Pay Later বুকিং অপশন আছে।
-
-
বুকিং কনফার্মেশনের PDF ডাউনলোড করুন।
ধাপ ৪: হোটেল বুকিং
-
Booking.com বা Agoda ব্যবহার করুন।
-
অপশন বেছে নিন: Free cancellation + Pay later/Pay at hotel।
-
ফ্লাইটের তারিখ অনুযায়ী পুরো ট্রিপের জন্য বুকিং দিন।
-
গেস্ট সেকশনে আপনার পরিবার বা সঙ্গীর নামগুলোও এড করে দিতে পারেন।
ধাপ ৫: ব্যাংক ডকুমেন্ট
-
Bank Statement (৬ মাসের)
-
Bank Solvency Certificate
👉 এগুলো স্ক্যান করে একসাথে একটি PDF বানান। সাইজ বেশি হলে অনলাইনে compress করুন।
ধাপ ৬: কভার লেটার (Visa Letter)
এটা আসলে এক ধরনের “ছুটির দরখাস্ত” স্টাইল চিঠি। লিখতে হবে:
-
কেন যাচ্ছেন?
-
কয়দিন থাকবেন?
-
ব্যয় কে বহন করবে?
-
সাথে কে কে যাবে? (নাম, জন্মতারিখ, পাসপোর্ট নাম্বার)
-
পূর্বে কোথাও ভ্রমণ করলে সেটাও উল্লেখ করতে পারেন।
👉 চাকরিজীবী হলে Office NOC / Leave Letter, ব্যবসায়ী হলে Trade License (notarized), ডাক্তার হলে BMDC Certificate যুক্ত করবেন।
ধাপ ৭: অন্যান্য ডকুমেন্ট
-
আগের মালয়েশিয়া ভিসা (যদি থাকে)
-
অন্য দেশের ভিসা কপি (max 3)
-
ম্যারেজ সার্টিফিকেট (যদি স্পাউজ নেম পাসপোর্টে না থাকে)
-
প্রয়োজনীয় অন্য যেকোনো ডকুমেন্ট
👉 সব একত্রে একটি PDF করে আপলোড করুন।
ধাপ ৮: পেমেন্ট
-
ভিসা ফি: ১২৬ রিঙ্গিত
-
যেকোনো আন্তর্জাতিক ব্যাংক কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করা যাবে।
-
পেমেন্ট করার পর সাধারণত ২–৭ দিনের মধ্যে ভিসা এপ্রুভ হয়। অনেক সময় ৪৮–৭২ ঘণ্টার মধ্যেই চলে আসে।
গুরুত্বপূর্ণ FAQ
❓ প্রথমবারে কি মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, ফ্রেশ পাসপোর্টেও পাওয়া যায়। অনেকেই প্রথমবারেই পেয়েছেন।
❓ একাউন্টে কত টাকা থাকা লাগবে?
স্পেসিফিক কিছু বলা নেই। তবে সিঙ্গেল এপ্লিকেন্ট হলে কমপক্ষে ১ লাখ, ফ্যামিলি হলে ২ লাখ টাকা থাকা ভালো।
❓ কতদিন থাকা যাবে?
প্রতিবার প্রবেশে সর্বোচ্চ ৩০ দিন অবস্থান করা যায়।
❓ ডিপেন্ডেন্টদের কিভাবে এপ্লাই করব?
কভার লেটারে সবার তথ্য লিখবেন এবং সাপোর্টিং ডকুমেন্টে আপনার পাসপোর্ট কপি যুক্ত করবেন।
শেষ কথা
মালয়েশিয়া ভিসা করতে এখন আর কোনো দালাল বা এজেন্সির প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে একদম ঘরে বসে নিজে নিজেই প্রথমবারেই মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা পেয়ে যাবেন।
তাহলে আর দেরি কেন? নিজের ও পরিবারের জন্য আজই এপ্লাই করুন, আর সহজেই ঘুরে আসুন মালয়েশিয়া ও আশেপাশের দেশগুলো! 🌏✈️
আপনার প্রতিক্রিয়া কি?






